প্রেমের বিয়ের এপিঠওপিঠ
এই বহুরূপি সমাজের একটা রূপ দেখাই...!
ধরেন একটা ভালোবেসে বিয়ে করা দম্পতি সংসার পাতলো। অবশ্যই এটা এতো সহজ না। এরেঞ্জ ম্যারেজ বা পারিবারিক সামাজিক বিয়েগুলোতে সবাইকে মাতিয়ে সব কাঁপিয়ে বিয়ে করা হয় সব পরিপূর্ণ হয়। নতুন বউ নতুন বউয়ের আরাম আয়েশ সেবা ভোগ করে প্রায় বেশ কয়েকদিন আর পরনে কাপড় অলংকার সবই থাকে...!
আর নতুন বিয়ে করা জামাইও অফিস কামাই করবে বেশ কদিন কিংবা ব্যবসা করলে তা একটু কদিন গুটিয়ে ঘুরবে ফিরবে বউয়ের সাথে সময় কাটাবে। এখানে বউকে গ্যাঁজানোর বা প্যাঁচানোর অথবা জামাইকে গ্যাঁজানোর বা প্যাঁচানোর কেউই থাকে না। কিন্তু প্রেম করে করা বিয়েগুলোর ক্ষেত্রে অনেক সময় ছেলের বাবা মা মানেনা আবার অনেক সময় মেয়ের বাবা মা মানে না। আবার অনেক সময় উভয় পক্ষিও মানেনা। আবার অন্যান্য সমস্যাও থাকে অনেক সময়। তখন সব বাঁধার তোয়াক্কা না করে দুইজন মানুষ তাদের দুনিয়া ছেড়ে নিজেদের একটা ভবিষ্যতে পা বাঁড়ায়...! তখন সবার ভর্ৎসনা তো আছেই সাথে একজনের কানে আরেকজনের কানপড়া তো আছেই...! যেমন ধরেন বিয়ের পরে ছেলের পক্ষ বা মেয়ের পক্ষ বা উভয়পক্ষই মোটামুটি মেনে নিলো সব কিন্তু ভাইয়া এখানে কিন্তু ঘাপলা থেকেই যাবে। যেহেতু তারা তারাই বিয়ে করেছে কাজেই মেয়ে পক্ষের গার্জিয়ান সবসময় ছেলেটাকে একটা ছোট চোখে দেখবেই। আর ছেলের পক্ষের ক্ষেত্রেও একই কাহিনী হবে। সুযোগ পেলেই ছেলেকে তার পক্ষের লোক জন কানপড়া দিবে মেয়ের নামে আর মেয়ের পক্ষের তো কথাই নাই কারণ মেয়েরা সবচেয়ে বেশি গল্প আর আড্ডাবাজ। কথায় আছে "মেয়েদের পেটে থাকেনা কথা ; তাদের বুঝানো পুরাই বৃথা"।
যেহেতু তারা তারাই বিয়ে করেছে সব ছেড়ে তাহলে তাদের কেউই নাই...!
তারাই তাদের সব...!
সেখানে যদি আপনারা পারেন বুঝাবেন বা সাপোর্ট দিবেন না পারলে ঝামেলা করার দরকার নাই...!
কারণ একাকী যেদিন তারা একটা ছাঁদের নিচে যায় সেদিন না ছেলেটা হয় নতুন জামাই আর না মেয়েটা হতে পারে নতুন বউ...!
প্রেমের একাকী করা বিয়েগুলো এরকমই হয়...!
যেদিন যাবে সেদিন থেকেই ছেলেটার মাথায় থাকবে কেমনে কিভাবে কি করা যায় উপার্জন বাড়ানো যায় আর মেয়েটার মাথায় ঘর দুয়ার সাজিয়ে রাখা যায় আর রান্নাবান্না কি কি করা যায় ভালো যা আছে তাতে...!
হোক তা পেঁয়াজ দিয়ে একটা ডিম কিংবা মাছ মুরগী অথবা অন্যকোন সবজি...!
আর পৃথিবীর সব ছেলেই চায় কিভাবে তার প্রেমিকা বা বউকে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা যায়...!
কিন্তু অনেক সময় পরিস্থিতির চাপে পারেনা কারণ সবাই তো আবার অনৈতিক কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে আগ্রহী নয় এই যেমন ধরেন অনেকেই ইয়াবা বেঁচে সংসার চালিয়ে আমি কি দুই তিন বছর সংসার করিনি এরকম কথা বলে নিজেকে বাহাদূর সাজায় অথচ সে যা করে বীর বাহাদূরী করছে তা হচ্ছে "ইয়াবা ব্যবসা"...!
আবার কিছু মানুষ আছে না খাই মরে যাবে তাও সুযোগ পেলেও অনৈতিক কাজ করবে না...!
ধার কর্য্য তো ভাই রাজা বাদশাও করে সেটা কিছুই না...!
যে ধার করতে পারে সে ঐ পরিমাণ টাকার চেয়ে বেশকয়েক গুণ টাকা গুণার ক্ষমতা নিয়েই ঘুরে সময় পরিস্থিতে বা কোনোনা কোনো কারণে হয়তো কোণঠাসা হয়ে থাকে...!
এসব কাটিয়ে বা এসবের সাথে যদি তারা তাদের কোন পক্ষের সাথে মিলিত হয় তাদের যে পক্ষ তার পক্ষের সাথে বিচ্ছিন্ন সে অপরপক্ষের মধ্যে তার পক্ষের মায়া ভালোবাসা পেতে চায় এর বেশী কিছুই না...!
মানে ছেলের পক্ষ যদি মেনে নেয় মেয়েটি ঐ ছেলের মা-বাবার মাঝে নিজের মা-বাবার আদর, ভালোবাসা, শাসন এসব পাইতে চায় আর ছেলেটির ক্ষেত্রেও ঠিক তা...!
কিন্তু যদি একটু যোগাযোগ হয় তখন ঐ যে একটু আগেই বললাম একটূ না একটু ঘাপলা থেকে যাবে...!
সেটাই হবে...!
যেমন ছেলের পক্ষের ধারণা থাকবে মেয়েটা তাদের ছেলেকে ভুলায় ভালায় আকাম করে গলায় ঝুলে গেছে আর মেয়ের পক্ষের মাথায় থাকবে আমাদের মেয়েকে পটিয়ে আমাদের থেকে টাকা খাইতে চাইতেছে এরকম কিছু একটা...!
কিন্তু এগুলার কোনটাই না...!
আমি আবার বলছি এগুলার কোনটাই না...!
মেয়েকে মেয়ের পরিবারের বেশ কয়েকজন যখন বলতে থাকবে তোরে নিয়ে গেলো অথচ কিছুই দিলো না...?
মেয়েটার যদিও এগুলা চাওয়া তখন ছিলো না কিন্তু এসব কথা বারবার বিভিন্ন জনের মুখে শুনতে সেই মেয়েটাও তার জামাইকে মানে যাকে সে ভালোবেসে বিয়ে করেছে এবং যার সম্পর্কে সে সব জানে তাকে সম্মান করা ভুলে যাবে...!
দিবে না দাম...!
আর সম্মান এবং দাম যেখানে থাকবে না সেখানে কি হয় জানেনই তো...?
সাথে তখন মেয়ে যাই বলুক না কেনো তা যদি একটা বালি পরিমাণ কথাও হয় মেয়ের পরিবার থেকে বলবে চলে আয়...!
কারণ বিয়ে দিতে তো তাদের কোনো কষ্টই হয়নি আর তাদের নিজেদের করা বিয়েতে তাদের মতামতও ছিলো না কাজেই তারা কোনোদিনও প্রকৃত বাস্তবতাটা বুঝতে চাইবে না...!
তখন মেয়ের পাওয়ার আর দেমাগ আরোও যাবে বেড়ে...!
এতেই শুরু হয়ে যাবে দাম্পত্য কলহ...!
আজকে ঝগড়া, কালকে আরোও বাজেভাবে ঝগড়া পরশু হাতাহাতি দ্যান...?
দ্যান মানে তারপর...?
বুঝছেন না...?
ছাড়াছাড়ি...!
অথচ একহাতে তালি কখনোও বাজে না...!
এজন্যই উচিৎ প্রেম বা সম্পর্কের বিয়ে গুলোতে অন্তত বছর খানেক উভয় পক্ষের কারোও সাথে যোগাযোগ করতে না দেয়া...!
এতে চুতিয়ামিপনাও হয় কম আর তেলাতেলিও...
আর এগুলা যত কম তত ঝামেলা কম...
আর ঝামেলা যত কম তত শান্তি...
আর যত শান্তি তত সংসার দৃঢ়...
www.facebook.com/ayazbinhafiz
sundor likhechen
ReplyDelete