নারী
নারীদের অধিকার নিয়ে লিখছি ! !! !!!
""নিজেকে এই সমাজের চোখে আমি ‘নষ্ট’ বলতে ভালবাসি। …নারীর শুদ্ধ হওয়ার প্রথম শর্ত ‘নষ্ট হওয়া’। ‘নষ্ট’ না হলে এই সমাজের নাগপাশ থেকে কোনও নারীর মুক্তি নেই। সেই নারী সত্যিকারের সুস্থ ও মেধাবী মানুষ, লোকে যাকে নষ্ট বলে।""
--তাসলিমা নাসরিন
--তাসলিমা নাসরিন
"যদি কোনও নারী নিজের দুঃখ-দৈন্য-দুর্শশা মোচন করতে চায়, যদি কোনও নারী ধর্ম, সমাজ ও রাষ্ট্রের নোংরা নিয়মের বিপক্ষে রুখে দাঁড়ায়, তাকে অবনমনের সকল পদ্ধতির প্রতিবাদ করে, যদি কোনও নারী নিজের অধিকার সম্পর্কে সজাগ হয় তবে তাকে নষ্ট বলে সমাজের ভদ্রলোকেরা। নারীর শুদ্ধ হবার প্রথম শর্ত ‘নষ্ট’ হওয়া। ‘নষ্ট’ না হলে এই সমাজের নাগপাশ থেকে কোনও নারীর মুক্তি নেই। সেই নারী সহিত্যকার সুস্থ ও বেধাবী মানুষ, লোকে যাকে ‘নষ্ট’ বলে।"
--তাসলিমা নাসরিন
--তাসলিমা নাসরিন
"ধর্ম বলে নারীকে পর্দার ভিতরে থাকতে হবে । আপন বাবা, ভাই ,চাচা, মামা, ইত্যাদি হাতে গোনা ক জন আত্মীয় ছাড়া আর কোন পুরুষের সামনে আসা তাদের নিষেধ । মুসলিম নারীকে অবরোধ রাখার জন্য ধর্মর শৃঙ্খল সবচেয়ে বড় শৃঙ্খল । এই শৃঙ্খলের কারণে অধিকাংশ মেয়ে আজ নিরক্ষর, উত্তরাধিকার বঞ্চিত, বাল্যবিবাহ , তালাক ও বৈধ বের নির্যাতনে শিকার।"
--তাসলিমা নাসরিন ( নষ্ট মেয়ের নষ্ট গদ্য - ৮৬ পৃষ্ঠায় )
"ইহুদি , খৃস্টান ও মুসলিম ধর্ম মতে – নারীর জন্ম পুরুষের পাঁজরের বাঁকা হাড় থেকে। মুসলিম মেয়েরা যানে স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রীর বেহেশত। ।( নষ্ট মেয়ের নষ্ট গদ্য-৮৭) । যানে স্বামী কে তুষ্ট রাখতে পারলে স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা খুশী হন। তাই বেহেশতের লোভ দেখিয়ে স্বামীর পদসেবায় স্ত্রীদের নিয়জিত রাখার এক ধরনের কৌশল , ধর্মের এবং সমাজের।"
--তাসলিমা নাসরিন
--তাসলিমা নাসরিন
"উত্তরাধিকার আইনে মেয়েদের বঞ্চিত করা হয়েছে ইসলামে। পুত্র সন্তানদের জন্য রেখেছে ২ ভাগ, কন্যাদের জন্য ১ ভাগ। এই অসভ্য উত্তরাধিকার আইনটি এই দেশে প্রচলিত। বিবাহ আইনে মেয়েরা দেনমোহরের শর্তে মেয়েরা পুরুষের কাছে একরকম বিক্রি হয়।"
--তাসলিমা নাসরিন ( নষ্ট মেয়ের নষ্ট গদ্য - ৯০ পৃষ্ঠায় )
--তাসলিমা নাসরিন ( নষ্ট মেয়ের নষ্ট গদ্য - ৯০ পৃষ্ঠায় )
আপনারা জানতে চাইলে এরকম আরও হাজারের বেশী তথ্য উপস্থাপন করতে পারব ! !! !!!
এখন অনেকেই হইত প্রশ্ন তুলতে পারেন যে আমি এখানে "তাসলিমা নাসরিন"র মত একটা বিতর্কিত লেখিকার লেখাংশ কেন উপস্থাপন করলাম ! !! !!! ??? ?? ?
আমি এরকম আরও অনেক লেখক লেখিকার বই পড়েছি...
যাক এবার আসি আসল কথায় ! !! !!!
এতক্ষন আমর তাসলিমা নাসরিনের কিছু কথা পড়ছিলাম, এখানে তাসলিমা নাসরিনের কথাগুলো আনার কারণ হচ্ছে ইসলাম এবং নারী সম্পর্কে আমাদের বাংলাদেশের বিতর্কিত মতবাদ গুলোর প্রবর্তকদের মিলিত রূপের নাম হচ্ছে তাসলিমা নাসরিন ! !! !!!
ঠিক এরকম প্রশ্নগুলোরই জবাবে আমার এই লেখা ! !! !!!
আসুন দেখি ইসলাম বলে ! !! !!!
এখানে মেয়েদের ব্যাপারে ইসলামের বিরূদ্ধে প্রধানত দুইটি প্রশ্নই উঠে ! !! !!!
১। পর্দা
২। অধিকার
২। অধিকার
প্রথমে পর্দা নিয়ে একটু সংক্ষেপে বলছি ! !! !!!
কথাগুলো মনযোগ দিয়ে শুন/শুনো/শুনোন ! !! !!!
১।পর্দাঃ একটি কথা উত্তমরূপে জেনে নেয়া আবশ্যক যে, প্রকৃতরুপে পর্দা কাকে বলে ? আমরা মশার কামড় থেকে বাঁচার জন্য মশারী ব্যবহার করি, রোদ থেকে বাঁচার জন্য ছাতা ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকি ঠিক একিভাবে নিজেকে হেফাজত রাখার জন্য ইসলামী শারিয়াহ্ মতে যে ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে তাই পর্দা ! !! !!!
নিজেকে অন্যের সামনে ফুটিয়ে তোলা বা প্রদর্শন এবং অন্যকে নিজের প্রতি আকৃষ্ট করা বা আকর্ষণ -এ ধরণের মানসিকতা অনেকের মাঝেই থাকে। যেমনঃ Hollywood,
Bollywood আর আমাদের বাংলা আর ভারতীয় বাংলা সিনেমা, বিজ্ঞাপন, নাটক হেন-তেন কাপ-জাপ আর কি ? কি আর বলব ?
কিছু মনে করবেন নাহ্ !
এসব দেখলে কার মাথা ঠিক থাকে ? ?? ??
Leggings, Polo Shirt, T-Shirt, Tops আর এই জাতীয় কিছু পশ্চিমা পোষাক পরিধান করে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে হাতে ব্যনার, ফেস্টুন নিয়া যদি বলে যে,
Bollywood আর আমাদের বাংলা আর ভারতীয় বাংলা সিনেমা, বিজ্ঞাপন, নাটক হেন-তেন কাপ-জাপ আর কি ? কি আর বলব ?
কিছু মনে করবেন নাহ্ !
এসব দেখলে কার মাথা ঠিক থাকে ? ?? ??
Leggings, Polo Shirt, T-Shirt, Tops আর এই জাতীয় কিছু পশ্চিমা পোষাক পরিধান করে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে হাতে ব্যনার, ফেস্টুন নিয়া যদি বলে যে,
"ইভটিজিং বন্ধ কর,
করতে হবে"
"Stop teasing Eves !"
করতে হবে"
"Stop teasing Eves !"
আপনার পাশে দাঁড়ানো আপার সহপাঠির চোখের দিকে তাকান দেখুন কেমন ক্ষুধার্ত দৃষ্ঠিতে আপনার দিকে তাকিয়ে আছে ? ?? ??
আধুনিকতা বা সভ্যতার অর্থ যদি অর্ধ-উলঙ্গ হওয়া বুঝায় তাহলে তো আদিম যুগের মানুষ পুরোপুরি আধুনিক ও সভ্য ছিল। কারণ তারা সম্পূর্ণ উলঙ্গ হয়ে ঘুরে বেড়াত। অথচ তাদেরকে অসভ্য বলা হয়! রাস্তা-ঘাটের উলঙ্গ পাগলা-পাগলিকেও তো তাহলে পুরোপুরি আধুনিক ও সভ্য বলতে হয়। কিন্তু ইসলাম-বিরোধীদের কেউই সেটা মেনে নেবে না! পোশাক-পরিচ্ছদ হচ্ছে মানব সভ্যতার নিদর্শনগুলোর মধ্যে একটি। মানুষ আর পশুর মধ্যে মৌলিক দুটি পার্থক্য হচ্ছে সত্য-মিথ্যা বা ভালো-মন্দ বিচারের ক্ষমতা এবং পোশাক-পরিচ্ছদ। এই দুটি মৌলিক পার্থক্য ছাড়া মানুষ আর পশুর মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই।
যাক ! !! !!!
তাই বলে কি কুকুরের ঘেউ ঘেউ শুনে কাফেলার অগ্রযাত্রা বন্ধ হয়ে যাবে ? ?? ??
কখনও নাহ্ ! !! !!!
তাই বলে কি কুকুরের ঘেউ ঘেউ শুনে কাফেলার অগ্রযাত্রা বন্ধ হয়ে যাবে ? ?? ??
কখনও নাহ্ ! !! !!!
আমার কথায় কিছু মনে করবেন না ! !! !!!
কারণ এটাই বাস্তবতা ! !! !!!
কারণ এটাই বাস্তবতা ! !! !!!
পর্দা-বিধান ইসলামী শরীয়তের পক্ষ থেকে সাধারণভাবে সমাজ-ব্যবস্থার এবং বিশেষভাবে উম্মতের মায়েদের জন্য অনেক বড় ইহসান। এই বিধানটি মূলত ইসলামী শরীয়তের যথার্থতা, পূর্ণাঙ্গতা ও সর্বকালের জন্য অমোঘ বিধান হওয়ার এক প্রচ্ছন্ন দলিল। পর্দা নারীর মর্যাদার প্রতীক এবং ইফফাত ও পবিত্রতার একমাত্র উপায়।
অনেকে মনে করেন, পর্দা-বিধান শুধু নারীর জন্য। এ ধারণা ঠিক নয়। পুরুষের জন্যও পর্দা অপরিহার্য। তবে উভয়ের পর্দার ক্ষেত্রে পার্থক্য রয়েছে। যে শ্রেণীর জন্য যে পর্দা উপযোগী তাকে সেভাবে পর্দা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যে কোনো ন্যায়নিষ্ঠ ব্যক্তিই কুরআন-সুন্নাহর পর্দা সম্পর্কিত আয়াত ও হাদীসসমূহ গভীরভাবে অধ্যয়ন করলে এই বাস্তবতা স্বীকার করবেন যে, ইসলামে পর্দার বিধানটি অন্যান্য হিকমতের পাশাপাশি নারীর সম্মান ও সমাজের পবিত্রতা রক্ষার জন্যই দেওয়া হয়েছে। এজন্য এই বিধানের কারণে প্রত্যেককে ইসলামের প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত। কৃতঘ্ন হয়ে এ বিধান সম্পর্কে অযথা আপত্তি করা উচিত নয়।
অনেকে মনে করেন, পর্দা-বিধান শুধু নারীর জন্য। এ ধারণা ঠিক নয়। পুরুষের জন্যও পর্দা অপরিহার্য। তবে উভয়ের পর্দার ক্ষেত্রে পার্থক্য রয়েছে। যে শ্রেণীর জন্য যে পর্দা উপযোগী তাকে সেভাবে পর্দা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যে কোনো ন্যায়নিষ্ঠ ব্যক্তিই কুরআন-সুন্নাহর পর্দা সম্পর্কিত আয়াত ও হাদীসসমূহ গভীরভাবে অধ্যয়ন করলে এই বাস্তবতা স্বীকার করবেন যে, ইসলামে পর্দার বিধানটি অন্যান্য হিকমতের পাশাপাশি নারীর সম্মান ও সমাজের পবিত্রতা রক্ষার জন্যই দেওয়া হয়েছে। এজন্য এই বিধানের কারণে প্রত্যেককে ইসলামের প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত। কৃতঘ্ন হয়ে এ বিধান সম্পর্কে অযথা আপত্তি করা উচিত নয়।
আর একটা কথা শুনলে হাসি আসে যখন কেউ বলে ইসলাম নারীকে পর্দা দিয়ে স্বাধীনতা দিচ্ছে নাহ্ ! !! !!!
গতকিছুদিন আগে সনাতন ধর্মের অর্থাৎ হিন্দু ধর্মের স্বামী বিবেকানন্দের একটা Topic পড়ছিলাম। দেখলাম উনি বলছেন যে, "ভারতবর্ষ ইসলাম আসিয়াছে দেবতার আশীর্বাদ স্বরূপ"
ত এব্যপারে আর কি বলব !?
আশাকরি বুঝতে পেরেছেন !
না বুঝলে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন অথবা ইনবক্স করুন ! !! !!!
ত এব্যপারে আর কি বলব !?
আশাকরি বুঝতে পেরেছেন !
না বুঝলে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন অথবা ইনবক্স করুন ! !! !!!
২। অধিকারঃ ইসলামে নারীদের মর্যাদা ও অধিকার নিয়ে বিশ্বব্যাপী এমনভাবে অপপ্রচার চালানো হয়েছে যেন সবগুলো ধর্মের মধ্যে ইসলামেই নারীদেরকে সবচেয়ে বেশী অবমাননা করা হয়েছে এবং সবচেয়ে কম অধিকার দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেকেই এই অপপ্রচারকে বিশ্বাসও করা শুরু করেছে। অথচ বাস্তবতা কিন্তু ঠিক তার বিপরীত। প্রকৃতপক্ষে, কোরআনে নারীদের নিয়ে আলাদাভাবে আলোচনা করতে যাওয়া মানে তাদেরকে বরং হেয় করা। কেননা কোরআনে নারী-পুরুষকে তো আলাদা দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হয়নি। যে দু-চারটি তুচ্ছ বিষয়কে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দুই টিক্কা ফুঁতানার মত ফুঁ দিয়ে ফুলায় ফুলায় সমালোচনা করা হয় সেগুলো বাস্তবিক দৃষ্টিকোণ থেকে কিছুই না। সামান্য যৌক্তিক ব্যাখ্যার মাধ্যমে সেগুলোকে খুব ভালো ভাবেই বুঝিয়ে দেয়া সম্ভব। তাছাড়া কোরআনে কিছু কিছু ক্ষেত্রে যেমন নারীকে বিশেষ মর্যাদা ও অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে তেমনি আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুরুষের উপরও অতিরিক্ত বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। অতএব, সবকিছু যোগ-বিয়োগ করে এবং নারী-পুরুষের মধ্যে যে প্রকৃতিগতভাবে কিছু পার্থক্য আছে সেটা বিবেচনায় রেখে কোরআনে নারী-পুরুষের মধ্যে পার্থক্য করা খুবই কঠিন।
তবে কোরআনের ক্ষেত্রে বাস্তববাদী হতে হবে। এক্ষেত্রে আবেগের কোনো স্থান নেই।
কোরআন হচ্ছে মানব জাতির ইতিহাসে প্রথম লিখিত গ্রন্থ যেটি নারী-পুরুষকে মানুষ হিসেবে সমান মর্যাদা দিয়ে নারীদের পক্ষেও অবস্থান নিয়েছে। পুরুষ মানেই পুরুষের পক্ষে এবং নারীদের বিপক্ষে হাজার বছরের এই মানসিকতাকে কোরআনই প্রথম ভেঙ্গে দিয়েছে।
নিচে কিছু আয়াত উল্লেখ করছি আয়াতগুলো পড়ে দেখুন তো কোরআনে নারী-পুরুষের মধ্যে আদৌ কোনো পার্থক্য করা হয়েছে কি-না।
“হে মানব-জাতি! তোমরা ভয় কর তোমাদের রবকে, যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদের এক আত্মা থেকে এবং যিনি সৃষ্টি করেছেন তার থেকে তার জোড়া, আর ছড়িয়ে দিয়েছেন তাদের দু’জন থেকে অনেক নর ও নারী।” (আন-নিসা ৪:১)
“যে ব্যক্তি ভাল কাজ করবে, হোক সে পুরুষ কিংবা নারী, এবং সে ঈমানদার হবে, এরূপ লোক জান্নাতে দাখিল হবে, আর তাদের প্রতি বিন্দুমাত্র অবিচার করা হবে না।” (আন-নিসা ৪:১২৪)
“আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি এই যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের নিজেদের মধ্যে থেকে সঙ্গী সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তি লাভ কর এবং সৃষ্টি করেছেন তোমাদের মধ্যে ভালবাসা ও দয়া।” (আর-রূম ৩০:২১)
“আমি বিনষ্ট করি না তোমাদের কোন পরিশ্রমকারীর কর্ম, তা সে হোক পুরুষ কিংবা নারী। তোমরা একে অন্যের সমান।” (আল-ইমরান ৩:১৯৫)
“বিশ্বাসী পুরুষ ও বিশ্বাসী নারী একে অপরের বন্ধু। তারা ভাল কাজের নির্দেশ দেয় এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে, তারা সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং আনুগত্য করে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের। এদেরই উপর আল্লাহ রহমত বর্ষণ করবেন।” (আত-তওবা ৯:৭১)
“তারা তোমাদের পোশাক এবং তোমরা তাদের পোশাক।” (আল-বাকারা ২:১৮৭)
“পুরুষ যা অর্জন করে সেটা তার প্রাপ্য অংশ এবং নারী যা অর্জন করে সেটা তার প্রাপ্য অংশ।” (আন-নিসা ৪:৩২)
“পুরুষদের জন্য অংশ আছে সে সম্পত্তিতে যা পিতা-মাতা ও নিকট-আত্মীয়রা রেখে যায়; এবং নারীদের জন্যও অংশ আছে সে সম্পত্তিতে যা পিতা-মাতা ও নিকট-আত্মীয়রা রেখে যায়, হোক তা অল্প কিংবা বেশী। তা অকাট্য নির্ধারিত অংশ।” (আন-নিসা ৪:৭)
“যারা কোন ভাল নারীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে, তারপর চারজন সাক্ষী উপস্থিত করে না তাদেরকে আশিটি বেত্রাঘাত করবে এবং কখনও তাদের সাক্ষ্য কবুল করবে না। এরাই প্রকৃত দুষ্ট ও মিথ্যাবাদী।” (আন-নূর ২৪:৪)
কোরআনের আগে কোনো ধর্মগ্রন্থে নারী-পুরুষকে সমান-সমান সম্পত্তি দেওয়া তো দূরে থাক নারীকে আদৌ কোনো সম্পত্তিই দেওয়া হয়নি।
এমনকি মুসলিমদের মধ্যে অনেকেই নারীদেরকে পুরুষের অর্ধেক সম্পত্তিও দেয় না। এই যখন বাস্তবতা তখন ‘অর্ধাংশ’ নিয়ে হৈ-চৈ করার কোনো মানে হয় না।
এমনকি মুসলিমদের মধ্যে অনেকেই নারীদেরকে পুরুষের অর্ধেক সম্পত্তিও দেয় না। এই যখন বাস্তবতা তখন ‘অর্ধাংশ’ নিয়ে হৈ-চৈ করার কোনো মানে হয় না।
সার্বিকভাবে সবকিছু বিচার-বিবেচনা করে কোরআনে নারীকে কিছুটা কম সম্পত্তি দেওয়ার পেছনে যথেষ্ট যুক্তি আছে ।
যেমন:
- কোরআনে নারী-পুরুষ উভয়কেই রোজগারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে অথচ পরিবারের সকল প্রকার ভরণপোষণের দায়িত্ব শুধু পুরুষের ঘাড়েই চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে ।
- কোরআনে নারী-পুরুষ উভয়কেই রোজগারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে অথচ পরিবারের সকল প্রকার ভরণপোষণের দায়িত্ব শুধু পুরুষের ঘাড়েই চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে ।
অর্থাৎ একজন নারী যা রোজগার করবে সেটা তার নিজস্ব কিন্তু পুরুষের রোজগার থেকে সংসারের সকল প্রকার খরচ বহন করতে হবে।
নারীকে কি এখানে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হলো না ?
পরিবারের সকল প্রকার ভরণপোষণের ভার নারীদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হলে এই কেলা মার্কা সমালোচকদের সারা জীবনের ঘুমই হয়তো হারাম হয়ে যেত ! !! !!!
- বিবাহ বিচ্ছেদের পরও নারীর ভরণপোষণের ভার পুরুষের উপর ন্যাস্ত করা হয়েছে ।
এমনকি বিধবাদের ভরণপোষণের কথাও বলা হয়েছে ।
এমনকি বিধবাদের ভরণপোষণের কথাও বলা হয়েছে ।
- কোরআন অনুযায়ী একজন নারী তার স্বামীর সম্পত্তিরও অংশ পাবে।
- নারী-পুরুষকে সমান-সমান সম্পত্তি দেওয়া হলে পুরুষদের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যার সৃষ্টি হতো। কারণ নারীরা বিয়ের পর স্বামীর বাড়ি যেয়ে স্বামী-সন্তানসহ সেখানেই স্থায়ী হয়ে যায়। ফলে ভাইয়ের পরিবারের এতগুলো সম্পত্তি কীভাবে স্বামীর বাড়িতে নিয়ে যাবে – এ নিয়ে সমস্যা দেখা দিত। প্রকৃতপক্ষে স্বামীর অর্থনৈতিক অবস্থা খুব খারাপ না হলে অনেক নারীই তাদের পিতার পরিবার থেকে কোনো সম্পত্তি নেয় না।
এবার দিন শেষে সবকিছু যোগ-বিয়োগ করার পর নারীদের ‘অর্ধাংশ’ কি প্রকৃতপক্ষে ‘অর্ধাংশ’-ই থাকবে নাকি বেশী হওয়ার কথা ?
বিষয়টাকে ইসলামের আলোকে বিচার-বিশ্লেষণ না করে কোরআনকে হেয় করার উদ্দেশ্যে লোক দেখানো নারীবাদী সেজে অযথা ছাগলের মত ম্যাঁ ম্যাঁ করলেই তো আর হবে না।
বিষয়টাকে ইসলামের আলোকে বিচার-বিশ্লেষণ না করে কোরআনকে হেয় করার উদ্দেশ্যে লোক দেখানো নারীবাদী সেজে অযথা ছাগলের মত ম্যাঁ ম্যাঁ করলেই তো আর হবে না।
যার ইচ্ছা, বিশ্বাস স্থাপন করুক এবং যার ইচ্ছা অমান্য করুক...!
valo laglo
ReplyDelete